Friday, August 16, 2013

★★★বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ★★★

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১
সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের
সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ
একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর
মানচিত্র আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের
২৫শে মার্চ রাতের
অন্ধকারে পাকিস্তানী সামরিক
বাহিনী পূর্ব
পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের
আদলে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের
সূচনা ঘটে। [৯] পঁচিশে মার্চের
কালো রাতে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা
ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র,
শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে।
গ্রেফতার করা হয় ১৯৭০ সালের সাধারণ
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাপ্রাপ্ত
দল আওয়ামী লীগ প্রধান বাঙ্গালীর
তৎকালীন প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে । গ্রেফতারের
পূর্বে ২৬শে মার্চের প্রথম
প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার
ঘোষণা দেন
পরিকল্গপিত গণহত্যার মুখে সারাদেশে শুরু
হয়ে যায় প্রতিরোধযুদ্ধ; জীবন
বাঁচাতে প্রায় ১ কোটি মানুষ
পার্শ্ববর্তী ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে।
পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল
রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস
(ইপিআর), ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক
বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্য
এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের
স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ
দেশকে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর
কব্জা থেকে মুক্ত করতে কয়েক মাসের
মধ্যে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী ।
গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ
চালিয়ে মুক্তিবাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানী হানাদার
বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ
ভারতের কাছ থেকে অর্থনৈতিক, সামরিক ও
কূটনৈতিক সাহায্য লাভ করে। ডিসেম্বরের
শুরুর দিকে যখন পাকিস্তানী সামরিক
বাহিনীর পতন আনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন
পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত
করতে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
ঘোষণা করে। অত:পর ভারত বাংলাদেশের
স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরিভাবে জড়িয়ে পড়ে।
মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর
সম্মিলিত আক্রমণের মুখে ইতোমধ্যে পর্যদুস্ত
ও হতোদ্যম পাকিস্তানী সামরিক
বাহিনী আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করে। ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স
ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার
সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।
এরই মাধ্যমে নয় মাস
ব্যাপী রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান হয়;
প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙ্গালী জাতির প্রথম
স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

No comments:

Post a Comment